বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তিকে এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই। তথ্য-প্রযুক্তি
সংশ্লিষ্ট পণ্য যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নোটবুক, ক্যামেরা, ইত্যাদি আমাদের
জীবনযাপনের ধারাটাই বদলে দিয়েছে। আবার এ যুগে বাড়িতে, অফিসে, এমনকি চলার
পথেও ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকতে চান সবাই। এধরনের তথ্য প্রযুক্তি,
প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট পণ্য, পণ্যের মার্কেট এবং ইন্টারনেট সেবাদানকারী
প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য থাকছে এখানে।
মোবাইল:
বর্তমান সময়ের
মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল মোবাইল। গ্রাহকদের মোবাইল সুবিধা
দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে মোট ৬টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানী রয়েছে। মোবাইল
অপারেটরগুলো হলো গ্রামীনফোন, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, সিটিসেল ও বাংলালিংক। এ
সকল অপারেটরদের লাইন ব্যবহার করার জন্য নোকিয়া, স্যামসাং, সনি, অ্যাপলের
আইফোন ও সিমফোনি ব্রান্ড সেট ব্যবহার করে থাকে। মোবাইল মার্কেটগুলোর মধ্যে
রয়েছে বায়তুল ভিউ মোবাইল মার্কেট (পল্টন), ল্যান্ড ভিউ মোবাইল মার্কেট
(গুলশান), বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ), মোতালিব প্লাজা ও ইস্টার্ন প্লাজা
(হাতিরপুল), ইষ্টার্ন মল্লিকা (এলিফ্যান্ট রোড) এবং সীমান্ত স্কয়ার
(ঝিগাতলা)।
এযুগে কম্পিউটারকে
একটি আবশ্যক যন্ত্র বলে বলা যায়। সাধ্য আছে এমন সকলেই অন্তত একটি কম্পিউটার
বা ল্যাপটপ কিনছেন। কম্পিউটার প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ায় ক্রেতাকে
কিছুদিন পরপরই যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে হয় কিংবা নতুন কম্পিউটার কিনতে হয়।
তাই নিয়মিত মার্কেটে যাতায়াত করতে হয় কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের। এখানে
কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার মার্কেট, ব্র্যান্ড কম্পিউটার
শপ সহ এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশে সেবাদানকারী মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন তথ্য
এখানে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন - প্রতিটি অপারেটরের কি কি প্যাকেজ রয়েছে,
প্যাকেজগুলোর সুবিধা কী, এফএনএফ সুবিধা, কল ট্যারিফ, কাস্টমার কেয়ার
সেন্টার, প্যাকেজ পরিবর্তন, নতুন সংযোগ, বিল পরিশোধ সহ বিস্তারিত তথ্য
রয়েছে।
একটা সময় ইন্টারনেট সংযোগ নেয়াটাকে
বিলাসিতা মনে করা হতো। খুব অল্প বাড়িতেই ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। লোকে
সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতো। ঢাকার প্রথম সাইবার ক্যাফে
ডলসি ভিটায় প্রতি ঘন্টায় ২০০ টাকা দিতে হতো। ধীরে ধীরে সাইবার ক্যাফেগুলোর
ইন্টারনেট ব্রাউজিং চার্জ কমার পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগের খরচও কমে
এসেছে। অফিসে, বাড়িতে ইন্টারনেটে সংযোগ নিচ্ছেন প্রায় সব কম্পিউটার
ব্যবহারকারী।
ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারী বিভিন্ন
আইএসপি প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে আছে গ্লোবাল অনলাইন, বাংলাদেশ অনলাইন,
গ্রামীন সাইবার নেট। এরা কেবল কিংবা রেডিও লিংকের মাধ্যমে সংযোগ দিয়ে
থাকে। আর বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো বড় আই এস পি প্রতিষ্ঠান
হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশজুড়ে ভয়েস সার্ভিসের পাশাপাশি ইন্টারনেট
সার্ভিস দিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। এছাড়া ঢাকা শহরের প্রায় সব
গুরুত্বপূর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট। সরকারী ল্যান্ডফোন
কোম্পানী বিটিসিএলও ডায়ালআপ এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে কপার
কেবলের মাধ্যমে। আবার ঢাকার পাড়ায় পাড়ায় ইন্টারনেট সংযোগ দেবার ব্যবস্থা
করছে ছোট ছোট আই এস পিগুলো। এরা বড় আইএসপি থেকে সংযোগ নিয়ে ব্যবসা
পরিচালনা করে থাকে। এই অংশে ইন্টারনেট অপারেটর গুলোর বিভিন্ন তথ্য আলাদা
আলাদা ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
টিপস এন্ড ট্রিকস:
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক যন্ত্রপাতির
ব্যবহার। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক যন্ত্রগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে
নানা রকম অসুবিধারও সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান
নিয়ে এই পেজটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক
জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্যও রয়েছে এই পেজটিতে।
বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েট মোবাইল ফোনের জয়জয়কার চলছে। অত্যাধুনিক এসকল
মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে কঠিনতর বিভিন্ন বিষয় সহজেই
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সমাধান করা যাচ্ছে। এছাড়া এমন কিছু অ্যাপস রয়েছে
যেগুলো দ্বারা আমাদের চারপাশের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়, অবসর সময়
কাটানো যায়, প্রিয়জনকে চমকে দেওয়া যায়। এরকম অসংখ্য অ্যাপস এর সংগ্রহশালা
তৈরি করা হয়েছে এই অংশে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে প্রতিনিয়তই উদ্ভাবন হচ্ছে নতুন নতুন
প্রযুক্তি। এ ধরনের নতুন নতুন সব প্রযুক্তি বিস্তারিত বর্ণনা সহ এই পেজটিতে
উপস্থাপন করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে তথ্য প্রযুক্তিতে নিজেকে পারদর্শী
করে তথ্য-প্রযুক্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণের লক্ষ্যে আইটি প্রশিক্ষণের প্রতি
তরুণ সমাজের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত কোর্সটি কোন জায়গা থেকে
করা যায় সে বিষয়ে অনেকেরই অজানা। এই পেজটিতে আইটি প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত
বিভিন্ন তথ্যের খোঁজখবর তুলে ধরা হয়েছে।
আমেরিকা বা কানাডার বিভিন্ন কলেজ বা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ইংরেজীতে দক্ষতা পরিমাপের একটি
মাপকাঠির নাম হল TOEFL. এটি মোট ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিটের একটি পরীক্ষা।
বাংলাদেশে TOEFL কনসালটেন্ট আছে, তারা এ বিষয়ক সকল সহযোগীতা করে থাকে।
আপনার পরীক্ষা দেয়ার সকল ব্যবস্থা তারা করে দেবে এবং একই সাথে আপনার
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যাবতীয় সহযোগীতাও তারা করে থাকে।
রিডিং টেস্ট হয় ৬০ মিনিটের এবং পয়েন্ট থাকে ৩০। তিন থেকে পাঁচটি প্যাসেজ থাকে, এগুলো পড়তে হয়।
লিসেনিং টেস্ট হয় ৬০ মিনিটের এবং পয়েন্ট থাকে ৩০। এখানে ২-৩ টি কনভারসেশন ও ৪-৬ টি লেকচার থাকে।
স্পিকিং টেস্ট হয় ২০ মিনিটের এবং পয়েন্ট থাকে ৩০। এখানে ২ টি স্পিকিং
টেস্ট দিতে হয় নিজের ইচ্ছা মত বিষয়ের উপর এবং ৪ টি টেস্ট হয় অনৈচ্ছিক।
রাইটিং টেস্ট হয় ৬০ মিনিটের এবং পয়েন্ট ৩০। ১ টি ঐচ্ছিক ও ১টি অনৈচ্ছিক টেস্ট নেয়া হয়।
মোট ১২০ পয়েন্টের টেস্ট নেয়া হয়।
টেস্ট দিতে যাওয়ার সময় অবশ্যই কনফার্মেশন লেটার এবং পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে।
TOEFL রেজিস্ট্রেশন ফিঃ
জুলাই, ২০১৩ ইং এর বিবরণী অনুযায়ী TOEFL রেজিস্ট্রেশনের জন্য খরচ হয় $ ১৫০
(প্রায় ১২,০০০ টাকা) । এই খরচের মধ্যে পরীক্ষার ফি এবং প্রাপ্ত স্কোর
বিশ্ববিদ্যালয়ে (চারটিতে) পাঠানোর খরচ অন্তর্ভুক্ত আছে।
“গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন (Graduate Record Examination)” –কে
সংক্ষেপে বলা হয় “জি আর ই (GRE)”। এটি মূলতঃ এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস
(ETS) –এর একটি রেজিস্টার্ড এডুকেশনাল ব্র্যান্ড, তাই একে লেখা হয় GRE®।
আমেরিকার ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (ব্যাচেলর
ডিগ্রির পর এমএস/ পিএইচডি প্রোগ্রাম) ভর্তির জন্য জি আর ই অত্যন্ত জরুরি
একটি বিষয়।
সাধারণত নিম্ন লিখিত আটটি বিষয়ের উপর বিষয়ভিত্তিক জি আর ই টেস্ট দেয়া যায়ঃ
১। প্রাণরসায়ন (Biochemistry), কোষ এবং আণবিক জীববিজ্ঞান (Cell and Molecular Biology)
২। জীববিজ্ঞান (Biology)
৩। রসায়ন (Chemistry)
৪। কম্পিউটার সাইন্স
৫। ইংরেজি সাহিত্য (Literature in English)
৬। গণিত (Mathematics)
৭। পদার্থ বিজ্ঞান (Physics)
৮। মনোবিজ্ঞান (Psychology)
যে কেউ চাইলে এর যেকোনো বিষয়ের উপর বিষয় ভিত্তিক জি আর ই টেস্ট দিতে
পারবে। আর সাধারণ জি আর ই –এর অন্তর্ভূক্ত বিষয়গুলো হল, ভার্বাল রিজোনিং
(Verbal Reasoning), কোয়ান্টিটেটিভ রিজোনিং (Quantitative Reasoning) এবং
এনালাইটিক্যাল রাইটিং স্কিলস (Analytical Writing Skills)। সাধারণ জি আর ই
টেস্টের জন্য নির্ধারিত এই বিষয়গুলো সকলের জন্য একই রকমের হবেঃ
ভার্বাল রিজোনিং (Verbal Reasoning): এই
টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর ইংরেজী শব্দ ও বাক্যের উপর দক্ষতা
কত। ইংরেজীতে আর্টিকেল লেখা থাকবে, সেই আর্টিকেলের বিষয়বস্তুগুলোকে (বাক্য)
বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে হবে, এরপর প্রতিটি ভাগকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে
হবে (শব্দগুলোর সাথে বিষয়বস্তুর সম্পর্ক বের করতে হবে)।
কোয়ান্টিটেটিভ রিজোনিং (Quantitative Reasoning): এই
অংশকে ম্যাথ সেকশনও বলা হয়।এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর
গাণিতিক মৌলিক ধারনা এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে বীজগণিত, জ্যামিতি ও
তথ্য বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা।
এনালাইটিক্যাল রাইটিং স্কিলস (Analytical Writing Skills): এই
টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর যে কোনো ধরনের জটিল সমস্যা
স্পষ্টভাবে ও সকল বিষয়াদি বিবেচনাধীন রেখে সমাধান করা। এই সমাধান পরিষ্কার
ইংরেজীতে লিখতেও হবে।
সপ্তাহে তিন দিন এই পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ থাকেঃ শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার। বাকি চার দিন এখানে পরীক্ষা গ্রহন করা হয়।
দুইটি সেশনে পরীক্ষা নেয়া হয়ঃ সকাল ৯.০০ মিনিটে এবং দুপুর ১.৩০ মিনিটে।
নোটঃ দিনে দুইবার করে সপ্তাহে চার দিন পরীক্ষা দেয়ার
সুযোগ থাকলেও একজন পরীক্ষার্থী মাসে শুধু একবার এবং বছরে মাত্র পাঁচবার
পরীক্ষা দিতে পারবেন। এর বেশি তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয় না।
জি আর ই করে আমেরিকা যেতে খরচের বিস্তারিতঃ (আনুমানিক)
বিশ্ববিদ্যালয়ে (চারটিতে) আবেদন ফি = $ ২৫ X ৪ = $ ১০০ (প্রায় ৮,০০০ টাকা)
আবেদন পাঠানোর খরচ (চারটি ঠিকানায়) = ২,০০০ টাকা X ৪ = ৮,০০০ টাকা
সার্ভিস ফি = ১৬,০০০ টাকা
ভিসা ইন্টারভিউ ফি = ৯,০০০ টাকা
প্লেন ফেয়ার = ৭০,০০০ টাকা
মোট = ১,৩৭,৮০০ টাকা
এখানে যে খরচের চিত্র দেখানো হলো, বাস্ততে তার সাথে কিছু পার্থক্য হতে
পারে। যেমন, প্লেনের টিকেটের দাম নির্ভর করে কোন সময়ে টিকেট কাটা হচ্ছে
এবং কোন এয়ারলাইন্সে কাটা হচ্ছে। ভিসা ইন্টারভিউ ফি বর্তমানে কিছু বাড়ানো
হয়েছে। আর সব খরচ মোটামুটি একই রকম।
জি আর ই পেয়িং সিস্টেম (চেকের মাধ্যমে)
জি আর ই সেন্টারের ঢাকা অফিস থেকে চেক সংগ্রহ করে কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনার
গন্তব্যস্থল-এ পাঠানো যায় অথবা অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে ইউএস অবস্থিত জি আর
ই সেন্টারগুলোর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পেমেন্ট পোঁছিয়ে দেওয়ার
ব্যবস্থা রয়েছে।
যদি ইউএস অফিস মাধ্যমে পেমেন্ট পৌঁছানোর দুটি উপায় রয়েছে-
চেক সার্ভিসের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকা অতিরিক্ত লাগবে।
উদাহরনস্বরূপ, $৭৫ ডলারের চেকের জন্য ৭৫০০ টাকার সাথে আরো ২০০০ টাকার লাগবে।
ইউএসএ অফিসে অনুরোধ অনুসারে $১২ ডলার অতিরিক্ত পে-এর মাধ্যমে আপনার কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে চেক পাঠানো যাবে।
নোট: টেক্সাস অফিস থেকে ‘ব্যাংক অব আমেরিকা’ ইস্যু করা হয়।
জি আর ই পেয়িং সিস্টেম (টেলিফোনের মাধ্যমে)
উল্লে্খ্য যে, ফোনের মাধ্যমে ক্রেডিক কার্ড ইনফরমেশন সবসময় প্রতারণার
ঝুঁকি থাকে। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি টেলিফোন ব্যতিত অন্য কোন
মাধ্যমে পেমেন্ট করেননি। বাংলাদেশের একমাত্র জি আর ই সেন্টার এ সার্ভিস
দিয়ে থাকে।
ফোনের মাধ্যমে জি আর ই এএসআর অর্ডার প্লেসিং-এর জন্য এই সেবা পেতে লাগবে
টোফেল একাউন্ট ইউজারনেম
একাউন্ট পাসওর্য়াড
আপনি যে তারিখের পরীক্ষার স্কোর পেতে চান সেই তারিখ (টোফেল ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
এরপর…
জি আর ই সেন্টার আপনার টোফেল কপির জন্য অনলাইনে পেমেন্ট করবে।
ইটিএস সাধারণত ১৪ দিনের ভিতর টোফেল পেপার পাঠিয়ে থাকে। অর্ডারের দিন থেকে
৫ দিনের ভিতর এবং সর্বোচ্চ ১ মাসের অর্ডার এবং রিসিপ্ট কার্যক্রম সম্পাদন
করা হয়।
ইউএস অফিসে স্কোর কার্ড পোঁছানোর পর ৩ দিনের ভিতর ফেডেক্স কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠনো হয়।
ঢাকা অফিস থেকে পেপার কপি সংগ্রহ করতে হবে।
নোট: জি আর ই স্কোর পেপার ইউএসএ অফিস থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।
নিন্মলিখিত তথ্যগুলোর জন্য ইটিএস হেড কোয়াটার থেকে কল করা হয়-
জি আর ই রেজিস্ট্রেশন অনলাইন কনফার্মেশন অথবা রেজিস্ট্রেশন নাম্বার
প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির সাথে জি আর ই, জিম্যাট এর কিছু পার্থক্য আছেঃ
প্রচলিত পরীক্ষা হয় কাগজ কলমে, আর জি আর ই, জিম্যাট পরীক্ষা হয় কম্পিউটারে।
আপনি একবারে মাত্র একটি প্রশ্ন দেখতে পাবেন। আগের জি আর ই (২০১১ এর
অগাস্টের আগে) ছিল সিএটি বা Computer Adaptive Test (CAT) ধরণের, যার অর্থ
হলো কম্পিউটার আপনার উত্তরের উপর নির্ধারণ করবে যে পরবর্তীতে আপনাকে কেমন
প্রশ্ন দেবে। আপনি যদি কোন প্রশ্নের উত্তর ভুল করেন তাহলে পরেরটা সহজ এবং
কোনটা সঠিক হলে পরেরটা একটু কঠিন হতো। কিন্তু বর্তমান জি আর ই তে CAT
ব্যবহৃত হয় না। বরং এখানে যা হয় তাকে বলে MST, Multi-Stage Testing ।
বর্তমানে দুটি ভার্বাল ও দুটি ম্যাথ সেকশন থাকে। যদি প্রথম ভার্বাল অংশটায়
আপনার পারফর্ম্যান্স ভালো হয় তাহলে পরেরটা কঠিন হবে, এবং বিপরীতক্রম। একই
কথা সত্য ম্যাথ অংশের জন্যও।
সনাতন পরীক্ষায় আপনি জানতে পারবেন যে কোন প্রশ্নের জন্য কত মার্কস।
কিন্তু জি আর ই বা জিম্যাটে ঠিক এভাবে জানা যায় না। আপনার সামগ্রিক
পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করে কম্পিউটার একটি স্কোর দাঁড় করায়, যা নির্দিষ্ট
সূত্র মেনে চলে।
পরীক্ষার হলে কক্ষপরিদর্শক বা ইনভিজিলেটররা থাকেন। জি আর ই পরীক্ষার হলে
একটি সাইবার ক্যাফের মতো রুমে সবাইকে আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে
দেওয়া হয়, এবং ইনভিজিলেটররা বাইরের রুমে থাকেন। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর
কর্মকাণ্ড তারা ক্লোস সার্কিট ক্যামেরায় দেখতে পারেন।
প্রচলিত পরীক্ষায় ভাবমূলক বা সাবজেকটিভ ধরণের প্রশ্ন থাকতে পারে, যার
উত্তর এক এক রকম হলে মার্কস ও এক এক রকম হতে পারে। জি আর ই বা জিম্যাটের
অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং অংশ ছাড়া ম্যাথ ও ভার্বাল অংশের সব প্রশ্নই
অবজেকটিভ ধরণের হবে, অর্থাৎ এক বা একাধিক উত্তর থাকবে কিন্তু ঠিক ওগুলোই
সঠিক উত্তর। এক এক জন একেক রকম উত্তর দিয়ে সঠিক মার্কস পেতে পারবে না।
জি আর ই পরীক্ষার অংশগুলোঃ
পরীক্ষাটি প্রধানত তিনটি অংশে বিভক্তঃ
Analytical Writing
Verbal
Quantitative (math section নামেই বেশি পরিচিত)
পাশের চিত্রে পরীক্ষার বিভিন্ন অংশগুলো দেখানো হল।
১। রাইটিং অংশে ইস্যু ও আর্গুমেন্ট এই দুই ধরনের লেখা লিখতে হবে কম্পিউটার কী-বোর্ড দিয়ে।
২। ভার্বাল অংশে যা যা থাকবেঃ
Reading comprehension from short, medium or long passages (জি আর ই’র মোট ভার্বাল প্রশ্নের অর্ধেকই হবে এরকম প্রশ্ন)
Text Completion বা এক কথায় শূন্যস্থান পূরণ। তবে বাক্যের মধ্যে একটি, দুইটি এমনকি তিনটি পর্যন্ত শূন্যস্থান থাকতে পারে।
Sentence Equivalence: একটা বাক্যের মধ্যে একটি শূন্যস্থান থাকবে, নীচে
ছয়টি শব্দ অপশন দেওয়া থাকবে যার মধ্যে যে কোন দুটি হবে সঠিক এবং চারটি
ভুল।
৩। ম্যাথ অংশে যা যা থাকবেঃ
Quantitative comparison. পাশাপাশি দুটি কলাম (এ এবং বি) দিয়ে বলবে কোনটা বড় বের কর।
Discrete mathematical problems: সরাসরি অংক কষে তার উত্তর বের করতে হবে।
Data Interpretation: গ্রাফের মধ্যে ডাটা দিয়ে সেগুলো থেকে সংখ্যায় উত্তর বের করতে হবে।
Numerical Input: অংক করে উত্তর একটি বক্সের মধ্যে বসাতে হয়। অর্থাৎ, কোন অপশন দেওয়া থাকবে না।
জি আর ই প্রস্তুতির জন্য বই
প্রয়োজনীয় বইগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। গুরুত্ব অনুসারে এগুলো এরকম (প্রথমটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)
A) ইংরেজী শব্দ ভাণ্ডার বা ভোকাবুলারি (vocabulary) সমৃদ্ধ করার বই
B) জি আর ই’র verbal অংশের জন্য বই
C) জি আর ই’র Quantitative বা math অংশের জন্য বই
D) জি আর ই’র Analytical writing অংশের জন্য বই
A) Vocabulary সমৃদ্ধ করার বই
বাজারে অসংখ্য বই পাওয়া যায় ওয়ার্ডলিস্ট বা ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করার
জন্য। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ভোকাবুলারি’র বইয়ের দুটি হলো
সাইফুর’স ভোকাবুলারি বই এবং প্রিন্সটন রিভিউ থেকে প্রকাশিত ওয়ার্ডমাস্টার
বই। সাইফুরস এর বইটা একদম নবীনদের জন্য ভালো, যাদের হয়ত ইংরেজী শব্দ বানান
করে করে পড়তে হয়। কিন্তু যারা GRE বা SAT’র মতো পরীক্ষায় বসতে চান,
তাদের একটু সমৃদ্ধতর বইয়ের দিকে যাওয়াই উচিত।
১. শব্দগুলোকে গ্রুপ করে পড়ার জন্য সংগ্রহ করতে পারেন জি আর ই সেন্টার
থেকে প্রকাশিত ওয়ার্ড পোস্টার (1B) , এবং ফরহাদ হোসেন মাসুম রচিত
Vocabuilder বই (1A)। শব্দ মনে রাখার সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক উপায় হলো শব্দের
গঠন ভেঙ্গে ভেঙ্গে তার মূল বা রুট দিয়ে মনে রাখা, এবং সমজাতীয় শব্দগুলো
এক সাথে পড়া। এই বই দুইটিতে শব্দের মূল (root) নিয়ে আলোচনা না করলেও
সমজাতীয় ও পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত শব্দগুলোকে এক সাথে আলোচনা করা হয়েছে বলে
অল্প সময়ে অনেকগুলো শব্দ মনে রাখা যায়।
২. শব্দের উৎস ও suffix (শব্দের শেষে বসা অংশ), prefix (শব্দের শুরুতে বসা
অংশ) ইত্যাদি দিয়ে বোঝা যায় একটি শব্দ কিভাবে গড়ে ওঠে এবং পরিবর্তিত
হয়। এসব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে Word power made easy (by Norman Lewis)
বইটিতে (1C), যা ভোকাবুলারির দখল বাড়ানোর জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয়
বইগুলোর একটি। বইটির শেষে কিন্তু বিশেষ একটা শব্দ তালিকা দেওয়া আছে, যা জি
আর ই শিক্ষার্থীদের অবশ্যই জানা থাকা উচিৎ।
৩. বাংলাদেশী লেখক এস এম জাকির হোসেন খুব সুন্দর তিনটি বই লিখেছেন যেখানে
শব্দগুলোকে তাদের root, suffix, prefix ইত্যাদির সাহায্যে আলোচনা করা
হয়েছে। বইয়ের নাম Word Learning Magic, book 1, 2, 3 (1D)।
B) জি আর ই’র Verbal অংশের জন্য বই
Verbal অংশে ভালো করার জন্য আমাদের নির্বাচিত বইগুলো নীচে দেওয়া হলো।
১. যারা উচ্চ স্কোর (330+) করতে চান তাদের প্রথম থেকেই Manhattan সিরিজ
ভালো করে পড়া উচিত। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ Unofficial গাইড। (2A)
২. ETS থেকে প্রকাশিত Official Guide (2B)
৩. Princeton Review Cracking the new GRE (2C)
৪. Barron's New GRE (2D)
প্র্যাকটিসের জন্য সংগ্রহ করতে হবে:
৫. ETS GRE big book (2E)
৬. Princeton 1014 (2F)
কম গুরুত্বপূর্ণ:
৭. Peterson's GRE (2G)
৮. Kaplan GRE (2H)
৯. Grubber's GRE (2I)
C) জি আর ই’র Quantitative বা Math অংশের জন্য বই
১. ম্যাথের জন্য সবচেয়ে ভালো বই হবে জি আর ই সেন্টার থেকে প্রকাশিত Math for GRE/GMAT Tests
২. Manhattan GRE
৩. ETS official guide
এ ছাড়া, নবম শ্রেণীর বীজগণিত ও জ্যামিতি বইয়ের অংক ও সূত্রগুলো দেখে রাখতে হবে।
প্র্যাকটিসের জন্য:
৪. Leaked out GRE Maths (জি আর ই সেন্টার থেকে প্রকাশিতব্য)